আইজ রাতে আর খানা জুটবে না বইলা আমার বিশ্বাস !! হাহাহাহাহা
গরুর মাংশ দিয়ে পোলাও খাইতে খাইতে হিন্দু ড্যান্স মাস্টারকে ঘেঁটুদলের মুসলমান অধিপতি এই কথা বলে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে থাকবে, এমন একটা দৃশ্য শুধু হুমায়ুন আহমেদই পারতেন তুলে ধরতে।
ধর্মটা আসলে রেসলিং এর মতন।
যার যখন জোর, সে তখন ধুনবে। যার জোর কম, সে ধুকবে।
এই উপমহাদেশে সনাতন ধর্মের জোর দৌর্দন্ড প্রতাপে বিরাজ করতো। প্রাথমিক স্তরের মুসলমানরা সেই জোরে পিষ্ট হইসে, বৌদ্ধরা নিগৃহীত হইসে। জোরের চোটে সনাতন ধর্মের লোকেরা নিজেদের পুটুও নিজেরা মারসে। নিম্ব বর্ণের হিন্দুদের উপর প্রেশার কম যায় নাই। ইতিহাস বদলাইসে, সমাজ ব্যাবস্থা বদলাইসে। উচ্চবর্ণের হিন্দুত্বের নাক উঁচামী করার অবস্থা নাই। কিন্তু রেসলিং খেলা তো থামে নাই। যারা আগের রাউন্ডে ধুনা খাইসে, তাদের জেনেটিক ডিসেন্ডাররা সেই রেসলিং এর রিং এ টাইনা আনতে চায় সব সময়। আরেক রাউন্ড খেইলা ধুনা টা দেয়া যায় নাকি সেই চেষ্টা জারী রাখে। সমস্যা হচ্ছে, সেই অরিজিনাল কন্টেস্টেন্ট তো নাই। অত্যাচারী হিন্দু রাজা, জমিদার, জোতদার হারায় গেসে, টিকে আছে হিন্দু নাম ধারী সাদামাটা হরিপদ রা। ঘেডির রগ সামান্য তেড়া মুসলমানেরা পূর্বপুরুষের জীন থেকে প্রাপ্ত জিদ এই গোবেচারাদের উপর মিটাইতে চেষ্টা করে।
অন্যধর্মের ঘাড়ের উপর চাপা না দিলে নিজের ধর্মটারে টেকসই দেখায় না, এই আদীম ধর্মতত্ব খুব অল্প সময়ে বিলীন হবে এমন সম্ভাবনা আসলে নাই।
যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন। উদার ধর্মতত্বের কথা বলেন, তারা আসলে নিজেরাই সংখ্যালঘু। এইটা মাথায় থাকেনা। বড় অংশের মানুষ, আসলে হিংস্র না হলেও নিজ ধর্মপ্রেম প্রকাশের পথ হিসাবে পর ধর্ম পেষণ এর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেয় না কোনোকালেই।
আমার স্কুল জীবনের বন্ধু মলয় সরকার।
জাতে হিন্দু, কিন্তু তারে আমি কখনো সংখ্যালঘু মনোবৃত্তিতে আটকাইতে দেখি নাই। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় হিন্দুদের একটা ডার্টি নিক নেম আছে। কোন কারনে তুচ্ছার্থে একজন হিন্দুকে "ড্যাঁডা" বলা হয়। পরিবার থেকে শেখানো হয়ত হয়না। কিন্তু এটা বলতে মানা করতেও শুনিনাই কাউকে। মুখের উপর বলার মত পরিস্থিতি হয়ত খুব ছিলনা। তবে, সেই সাতচল্লিশে ধর্মীয় দাংগা শুরু করার দাবীদার নোয়াখালীর মোসলমান সমাজ হিন্দুদের সাথে সহাবস্থানে উদার হইতে পারে নাই। হিন্দুরাও জানে এই জিনিস। তো মলয় ছিল ভিন্ন। একবার ক্লাস এইটে মলয় লক্ষীপুজার নাড়ু আনসিল ক্লাসে, অল্পকয়টা। আমি চাওয়ার আগেই শেষ। আমি যখন বল্লাম আমারে দিলি না ?
মলয়ের জবাব ছিল - হালারপুত, লাড্ডূ খাওনের সময় ড্যাঁডার খোজ লও, না ?
কথা আংশিক সত্য। আমি হিন্দু -মুসলমান আলাদা করার লেসন পাই নাই। তখনো আমার হিন্দু বিষয়ক ধারণা- শুধু তারা গরু খায় না, আর পুজার সময় ধুমধাম করে লাড্ডূ খায়, এই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
মলয় ছিল ডানপীঠে, মারামারি, খেলা কোনোকিছুতে পিছানো না। তারমধ্যে আমি কখনো কমপ্লেক্স দেখিনাই। সাপ্রেশানের সামনে নুইয়া না পইড়া মলয়ের সাহস ছিল বুক ফুলাইয়া দাঁড়ানোর। মায়া হোটেলে গরুর কলিজার সিংগারা খাইয়া মুন্না নামের আরেক বন্ধুকে মলয় ব্ল্যাক মেইল করসিলো
যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলেন। উদার ধর্মতত্বের কথা বলেন, তারা আসলে নিজেরাই সংখ্যালঘু। এইটা মাথায় থাকেনা। বড় অংশের মানুষ, আসলে হিংস্র না হলেও নিজ ধর্মপ্রেম প্রকাশের পথ হিসাবে পর ধর্ম পেষণ এর বিপক্ষে শক্ত অবস্থান নেয় না কোনোকালেই।
আমার স্কুল জীবনের বন্ধু মলয় সরকার।
জাতে হিন্দু, কিন্তু তারে আমি কখনো সংখ্যালঘু মনোবৃত্তিতে আটকাইতে দেখি নাই। নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় হিন্দুদের একটা ডার্টি নিক নেম আছে। কোন কারনে তুচ্ছার্থে একজন হিন্দুকে "ড্যাঁডা" বলা হয়। পরিবার থেকে শেখানো হয়ত হয়না। কিন্তু এটা বলতে মানা করতেও শুনিনাই কাউকে। মুখের উপর বলার মত পরিস্থিতি হয়ত খুব ছিলনা। তবে, সেই সাতচল্লিশে ধর্মীয় দাংগা শুরু করার দাবীদার নোয়াখালীর মোসলমান সমাজ হিন্দুদের সাথে সহাবস্থানে উদার হইতে পারে নাই। হিন্দুরাও জানে এই জিনিস। তো মলয় ছিল ভিন্ন। একবার ক্লাস এইটে মলয় লক্ষীপুজার নাড়ু আনসিল ক্লাসে, অল্পকয়টা। আমি চাওয়ার আগেই শেষ। আমি যখন বল্লাম আমারে দিলি না ?
মলয়ের জবাব ছিল - হালারপুত, লাড্ডূ খাওনের সময় ড্যাঁডার খোজ লও, না ?
কথা আংশিক সত্য। আমি হিন্দু -মুসলমান আলাদা করার লেসন পাই নাই। তখনো আমার হিন্দু বিষয়ক ধারণা- শুধু তারা গরু খায় না, আর পুজার সময় ধুমধাম করে লাড্ডূ খায়, এই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
মলয় ছিল ডানপীঠে, মারামারি, খেলা কোনোকিছুতে পিছানো না। তারমধ্যে আমি কখনো কমপ্লেক্স দেখিনাই। সাপ্রেশানের সামনে নুইয়া না পইড়া মলয়ের সাহস ছিল বুক ফুলাইয়া দাঁড়ানোর। মায়া হোটেলে গরুর কলিজার সিংগারা খাইয়া মুন্না নামের আরেক বন্ধুকে মলয় ব্ল্যাক মেইল করসিলো
- তুই আমারে গরু খাওয়াইছস, স্যার রে কইয়া দিমু বলে।
মুন্নার কাছ থেকে ৫ টাকা আদায় করে, আমাকে নিয়ে আবার কলিজার সিংগারাই খাইসিল।
এই ছিল মলয়। সব হিন্দুরা এমন হয় না। হতে পারে না। এত সাহস সবার নাই।
যদিও বিশাল কমপ্লেক্স নিয়ে চলা কিছু হিন্দু টিচার আমার দেখতে হইসে। তাদের প্রশংগে বলার কিছু নাই।
মুন্নার কাছ থেকে ৫ টাকা আদায় করে, আমাকে নিয়ে আবার কলিজার সিংগারাই খাইসিল।
এই ছিল মলয়। সব হিন্দুরা এমন হয় না। হতে পারে না। এত সাহস সবার নাই।
যদিও বিশাল কমপ্লেক্স নিয়ে চলা কিছু হিন্দু টিচার আমার দেখতে হইসে। তাদের প্রশংগে বলার কিছু নাই।
ধীরে ধীরে দেশের আনাচে কানাচে মোসলমানিত্বের মহড়া দেখে দেখে বড় হইসি। পুজার
আগে মূর্তি ভাঙ্গা। ভোটের আগে শাঁসানী। ভোটের পর অত্যাচার। চাকরীর বেলায়
মাথা গোনা।
পূর্ব শতাব্দীর হিন্দুত্বের চোটপাট, পাকিস্তান প্রেম, ভারত বিদ্বেষ এর সব
কিছুর লোড চেপে বসে বাজারের কোনায় জুতা সেলাই করা নিত্যানন্দ কিংবা পিএইচডি
করা কোন অজয় দত্তের ঘাঁড়ে।
ঢাকেশ্বরী, ধামরাই বা বনানী মাঠে পুজা দেখতে যাওয়া বাংগালী মুসলমান খুব কিউট। এরা ঈদেও খুশি, পুজায় ও খুশি। এদের খুশির সীমা নাই। এরা কোরবানীতে গরু খায়, পুজার প্রসাদ খায়, বৌদ্ধ পূর্নিমার সন্দেশ খায় আবার ক্রিসমাসে কেক-ওয়াইনও খায়।
কিন্তু বাকী দেশটা এদের মতন কিউট না।
বাকি দেশে কেউ ইসলাম কায়েম করার পতাকা উচা করে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙ্গে। পুরোহিত, সেবাইতের গলা কাটে।
কেউ জাতিয়তাবাদ বুঝায় হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করে আর হিন্দুপুরুষকে পিটায়ে লুলা বানায়ে। দোকান-বাড়ি লুট করে।
সহাবস্থান বুঝায় মসজিদের মাইক বাজবে, কিন্তু মন্দিরে আরাধনা হইলেও মন্দিরা কাসার আওয়াজ যেন বাইরে না শোনা যায় এই সীমানা টেনে।
কেউ আঘাত করার দায় নাই বলে শুধু মুখে "ড্যাঁডা" বলেই মাফ করে দেয়।
আর বিশাল, বিশাল একটা অংশের বাংগালী মুসলমান মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করে
- গরু খাওনা কেন ? গরুতে কি সমস্যা ?
হুমায়ুন আহমেদ বুঝতেন। উপরে উপরে যতই মাখন মারা হোক না কেন, মেজরিটি বাংগালী মুসলমান হল সেই ঘেঁটুদলের অধীকারীর মতন। হিন্দুর সাথে চলবে ফিরবে, কিন্তু গরু দিয়া টিপ্পনী দিতে ছাড়বে না।
মানসিকতা যখন মেজরিটি আর মাইনরিটিতে ভাগ হওয়া। তখন রেসলিং চলবে তলে তলে এটাই স্বাভাবিক।
পুজার লাড্ডু খাইতে চাইলে, মোসলমানিত্বের লাগামটা টেনে ধরা দরকার।ঢাকেশ্বরী, ধামরাই বা বনানী মাঠে পুজা দেখতে যাওয়া বাংগালী মুসলমান খুব কিউট। এরা ঈদেও খুশি, পুজায় ও খুশি। এদের খুশির সীমা নাই। এরা কোরবানীতে গরু খায়, পুজার প্রসাদ খায়, বৌদ্ধ পূর্নিমার সন্দেশ খায় আবার ক্রিসমাসে কেক-ওয়াইনও খায়।
কিন্তু বাকী দেশটা এদের মতন কিউট না।
বাকি দেশে কেউ ইসলাম কায়েম করার পতাকা উচা করে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙ্গে। পুরোহিত, সেবাইতের গলা কাটে।
কেউ জাতিয়তাবাদ বুঝায় হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ করে আর হিন্দুপুরুষকে পিটায়ে লুলা বানায়ে। দোকান-বাড়ি লুট করে।
সহাবস্থান বুঝায় মসজিদের মাইক বাজবে, কিন্তু মন্দিরে আরাধনা হইলেও মন্দিরা কাসার আওয়াজ যেন বাইরে না শোনা যায় এই সীমানা টেনে।
কেউ আঘাত করার দায় নাই বলে শুধু মুখে "ড্যাঁডা" বলেই মাফ করে দেয়।
আর বিশাল, বিশাল একটা অংশের বাংগালী মুসলমান মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করে
- গরু খাওনা কেন ? গরুতে কি সমস্যা ?
হুমায়ুন আহমেদ বুঝতেন। উপরে উপরে যতই মাখন মারা হোক না কেন, মেজরিটি বাংগালী মুসলমান হল সেই ঘেঁটুদলের অধীকারীর মতন। হিন্দুর সাথে চলবে ফিরবে, কিন্তু গরু দিয়া টিপ্পনী দিতে ছাড়বে না।
মানসিকতা যখন মেজরিটি আর মাইনরিটিতে ভাগ হওয়া। তখন রেসলিং চলবে তলে তলে এটাই স্বাভাবিক।
দেশে তো ইদানিং উচ্চ মাত্রার মোসলমানিত্বের মহড়া শুরু হইসে। তাতে হিন্দু তো কোন ছাড়। মোসলমান ও কাটা পড়তেসে। মাওলানা, মুয়াজ্জিন সহ।
নিজের ঘর থেকে মানসিকতা বদলায়ে না বের হলে, একসময় পুজা দেখা বা লাড্ডু খাওয়ার জন্য আর হিন্দু খুজে পাওয়া যাবেনা। বিটিভিতে বইসা বইসা রাত দশটার পর দূর্গা-মহীশাসুরের ৩৫ বছরের পুরান স্ক্রিপ্টের বিশেষ অনুষ্ঠান দেখা লাগবে।
ভালয় ভালয় পূজাপর্ব শেষ হোক সারা দেশে। আনাচে কানাচেও যেন মন্ডপে দিয়া জ্বলে।
ধর্মটা যার যার থাকুক। উতসব টা সবার হোক।
No comments:
Post a Comment