প্রায় সকল মানব সমাজেই ঈশ্বর অতি আদরের উপকরণ। রাজ-দন্ডের মালিক চিরদিনই ঈশ্বরের একান্ত সেবক, রক্ষক ও প্রমোটার। তাই সাধারন মানুষের চিন্তাধারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যাওয়া কখনই সহজ ছিল না। প্রাচীনকালে যখন ধর্মীয় আদি পুস্তক রচিত হয় তখন এর শত্রু-মিত্র-নায়ক সকলেই ছিল রক্ত মাংসের মানুষ। কালে কালে এই গ্রন্থগুলোর চরিত্রগুলো যতই বিকশিত হতে থাকে ততই তার নায়কেরা হতে থাকেন মহান চরিত্র আর শত্রুপক্ষ পরিণত হয় রাক্ষস খোক্কস কিংবা ভূতুমের রূপকথায় জিব্রাইল, শয়তানের মত। মূলত এরা প্রাচীন লেখকদের হাতে পেয়েছেন অর্ধদেবত্ব আর মধ্যযুগের লেখকদের হাতে পেয়েছেন পূর্ণ দেবত্ব কিংবা সর্বশক্তিমানের খেতাব। এর ফলে আল্লা-মোহাম্মদ-বান্দর-ভগবান সকলেই হয়ে উঠেন বেসুমার অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী।
তবে এইসকল গ্রন্থে শুধু একজন মাত্র থেকে যান রক্ত-মাংস-আবেগের মৌলিক মানুষ। সেটা হলো লেডিস কারেক্টর। রামায়নে বাপে ফেলে দেয়া- শত্রুতে টেনে নেয়া- স্বামীতে তাড়িয়ে দেয়া সীতা... অথবা মহাভারতের দ্রৌপদী অথবা আয়েশা ধর্ষণ অথবা...। সাধারন মানুষ ছোট খাটো মিথ্যা বলতেই ভয় পায় , যদি বলে ফেলেও খুব তাড়াতাড়ি তা ধরা খেয়ে যায়। কিন্তু কোন লোক যদি প্রকান্ড মিথ্যা কথা বলে তাহলে সাধারন মানুষ তা বিশ্বাস করার আগে প্রচন্ড রকম চমকে যায়। আর তাদের সামনে দুটো পথ মাত্র খোলা থাকে – এক. হয় লোকটাকে পাগল বা উন্মাদ সাব্যাস্ত করা, অথবা দুই. তার কথা বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করা। আর একবার যদি কিছু লোক তাকে বিশ্বাস করে বসে তাহলে তাদের পক্ষে লোকটার যাবতীয় সবকিছুই বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করতে হবে অন্ধের মত। তাই কোরাণে মোহাম্মদ এগুলো নিয়ে প্রশ্ন না তুলতে অনেক নির্দেশ পয়দা করেছেন। নিজে বিয়ে করে দাসী বাদী রেখেছেন আর এর বৈধতা দিতে শত শত আয়াত বানিয়েছেন। এদিকে থেকে ঋষি ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রে কিন্তু বাধা ছিলই না। আমি খুব কম ঋষিকে সরাসরি কোনো বামুন কন্যা বিয়ে করতে দেখেছি। ঋষিরা বরং পুরো স্বাধীন ছিলেন স্ত্রী গ্রহণ করতে। বিয়ের ক্ষেত্রে জাতপাক কাস্ট এগুলা আরো বহু পরের সংযোজন। অন্যদিকে আয়েশার লজ্জা ঢাকতে মোহাম্মদ যেমন কোরাণে অনেক বোরকা হিজাব পড়িয়েছেন তেমনি কৃত্তীবাস বহু অলৌকিক কল্পকাহিনীর হিজাব-বোরখাও পড়িয়েছেন রাম অবতারের বৌয়ের ইজ্জত ঢাকার জন্য। ভগবানের বৌয়ের ইজ্জত রক্ষার দরকার!!! মহান কাজ !
এই সকল কারিগরিই হয়েছে মূলত ভগবান রামের ঘরের ইজ্জত রক্ষার জন্য; সীতার জন্য না। কারণ নারীর জাত তার স্বামীর জাতেই নির্ধারিত হয়; বামুনে বিয়ে করলে বামনি; চাষায় করলে কিষাণী আর চাড়ালে করলে চণ্ডালিকা... । সীতাকে ভরতের কাছে দান করে দিতেও আমার আপত্তি নাই; কথায় কথায় রামের মুখে এই রকম কথা দিয়ে রামায়ণে সীতার যে জীবনী শুরু হয় সেটা গিয়ে শেষ হয় সীতারে কুত্তায় চাটা ঘি বলে। আদি পুস্তকের পরতে পরতে সীতার এইরকম গঞ্জনা-অপমান গ্রন্থিত করলেও বাল্মিকী অন্তত সীতার আত্মসম্মানরে এক চুল পরিমাণও নীচে নামাননি। এই কাজটা করছেন মূলত অবতারবাদী ভক্তের দল। তারা রাবণের ছোঁয়া থেকে রামের স্ত্রীর ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে রীতিমতো নরক ঢেলে দিছেন সীতার আত্মমর্যাদার উপর।
একজন ধর্ষিতা নারীর স্বামীকে ভগবান বানানো তো ভক্তের জন্য কঠিন। তাই ভক্তরা প্রথম রাবণের উপর রম্ভা কাহিনি চাপিয়ে ব্রহ্মার অভিশাপ যোগ করে বুঝাইতে চাইলেন যে নিজের জানের ভয়েই রাবণ সীতারে ছুঁতে পারে নাই। সতীত্ব ছাড়া নারীর সম্পদ নাই; স্বামী ছাড়া নারীর গতি নাই; এই কনেসেপ্টে বিশ্বাসী সকলেই সীতার মাথা নত করে তারে নিয়া তুলেছেন একটার পর একটা পরীক্ষা। ব্যক্তি সীতার দিকে কেউই তাকায়নি। সীতা অনেক মুখরা প্রত্তুৎপন্নামতী নারী হলেও দরকারি কথায় কিন্তু সীতা নির্বোধের মতো নিশ্চুপ থাকেন।
রাবণে বান্দরে ব্রাহ্মণে সকলেই যখন সীতারে অপবিত্র বলছেন এবং স্বয়ং সীতারাই যখন মেনে নেন তখন আমি আর বিষয়ের গভীরে যাব না।কথাগুলো বলছিলাম এই কারনে যে, একটি মেয়ে ধর্মবিশ্বাসী হয়ে কীভাবে নারীবাদী হয় আমার মাথায় ঢুকে না। আল্লা আর তার রাসুল নারীকে মানুষ হিসেবে তো স্বীকারই করেনি। ভোগপণ্য শস্যক্ষেত্ররা কী করে নারীবাদী হবার অবকাশ পায়? এটি ধর্মদ্রোহীতা নয়? এসব ধর্মদ্রোহীরা কি সুবিধেবাদী, জেগে ঘুমায় নাকি কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানায়?
তবে এইসকল গ্রন্থে শুধু একজন মাত্র থেকে যান রক্ত-মাংস-আবেগের মৌলিক মানুষ। সেটা হলো লেডিস কারেক্টর। রামায়নে বাপে ফেলে দেয়া- শত্রুতে টেনে নেয়া- স্বামীতে তাড়িয়ে দেয়া সীতা... অথবা মহাভারতের দ্রৌপদী অথবা আয়েশা ধর্ষণ অথবা...। সাধারন মানুষ ছোট খাটো মিথ্যা বলতেই ভয় পায় , যদি বলে ফেলেও খুব তাড়াতাড়ি তা ধরা খেয়ে যায়। কিন্তু কোন লোক যদি প্রকান্ড মিথ্যা কথা বলে তাহলে সাধারন মানুষ তা বিশ্বাস করার আগে প্রচন্ড রকম চমকে যায়। আর তাদের সামনে দুটো পথ মাত্র খোলা থাকে – এক. হয় লোকটাকে পাগল বা উন্মাদ সাব্যাস্ত করা, অথবা দুই. তার কথা বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করা। আর একবার যদি কিছু লোক তাকে বিশ্বাস করে বসে তাহলে তাদের পক্ষে লোকটার যাবতীয় সবকিছুই বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করতে হবে অন্ধের মত। তাই কোরাণে মোহাম্মদ এগুলো নিয়ে প্রশ্ন না তুলতে অনেক নির্দেশ পয়দা করেছেন। নিজে বিয়ে করে দাসী বাদী রেখেছেন আর এর বৈধতা দিতে শত শত আয়াত বানিয়েছেন। এদিকে থেকে ঋষি ব্রাহ্মণদের ক্ষেত্রে কিন্তু বাধা ছিলই না। আমি খুব কম ঋষিকে সরাসরি কোনো বামুন কন্যা বিয়ে করতে দেখেছি। ঋষিরা বরং পুরো স্বাধীন ছিলেন স্ত্রী গ্রহণ করতে। বিয়ের ক্ষেত্রে জাতপাক কাস্ট এগুলা আরো বহু পরের সংযোজন। অন্যদিকে আয়েশার লজ্জা ঢাকতে মোহাম্মদ যেমন কোরাণে অনেক বোরকা হিজাব পড়িয়েছেন তেমনি কৃত্তীবাস বহু অলৌকিক কল্পকাহিনীর হিজাব-বোরখাও পড়িয়েছেন রাম অবতারের বৌয়ের ইজ্জত ঢাকার জন্য। ভগবানের বৌয়ের ইজ্জত রক্ষার দরকার!!! মহান কাজ !
এই সকল কারিগরিই হয়েছে মূলত ভগবান রামের ঘরের ইজ্জত রক্ষার জন্য; সীতার জন্য না। কারণ নারীর জাত তার স্বামীর জাতেই নির্ধারিত হয়; বামুনে বিয়ে করলে বামনি; চাষায় করলে কিষাণী আর চাড়ালে করলে চণ্ডালিকা... । সীতাকে ভরতের কাছে দান করে দিতেও আমার আপত্তি নাই; কথায় কথায় রামের মুখে এই রকম কথা দিয়ে রামায়ণে সীতার যে জীবনী শুরু হয় সেটা গিয়ে শেষ হয় সীতারে কুত্তায় চাটা ঘি বলে। আদি পুস্তকের পরতে পরতে সীতার এইরকম গঞ্জনা-অপমান গ্রন্থিত করলেও বাল্মিকী অন্তত সীতার আত্মসম্মানরে এক চুল পরিমাণও নীচে নামাননি। এই কাজটা করছেন মূলত অবতারবাদী ভক্তের দল। তারা রাবণের ছোঁয়া থেকে রামের স্ত্রীর ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে রীতিমতো নরক ঢেলে দিছেন সীতার আত্মমর্যাদার উপর।
একজন ধর্ষিতা নারীর স্বামীকে ভগবান বানানো তো ভক্তের জন্য কঠিন। তাই ভক্তরা প্রথম রাবণের উপর রম্ভা কাহিনি চাপিয়ে ব্রহ্মার অভিশাপ যোগ করে বুঝাইতে চাইলেন যে নিজের জানের ভয়েই রাবণ সীতারে ছুঁতে পারে নাই। সতীত্ব ছাড়া নারীর সম্পদ নাই; স্বামী ছাড়া নারীর গতি নাই; এই কনেসেপ্টে বিশ্বাসী সকলেই সীতার মাথা নত করে তারে নিয়া তুলেছেন একটার পর একটা পরীক্ষা। ব্যক্তি সীতার দিকে কেউই তাকায়নি। সীতা অনেক মুখরা প্রত্তুৎপন্নামতী নারী হলেও দরকারি কথায় কিন্তু সীতা নির্বোধের মতো নিশ্চুপ থাকেন।
রাবণে বান্দরে ব্রাহ্মণে সকলেই যখন সীতারে অপবিত্র বলছেন এবং স্বয়ং সীতারাই যখন মেনে নেন তখন আমি আর বিষয়ের গভীরে যাব না।কথাগুলো বলছিলাম এই কারনে যে, একটি মেয়ে ধর্মবিশ্বাসী হয়ে কীভাবে নারীবাদী হয় আমার মাথায় ঢুকে না। আল্লা আর তার রাসুল নারীকে মানুষ হিসেবে তো স্বীকারই করেনি। ভোগপণ্য শস্যক্ষেত্ররা কী করে নারীবাদী হবার অবকাশ পায়? এটি ধর্মদ্রোহীতা নয়? এসব ধর্মদ্রোহীরা কি সুবিধেবাদী, জেগে ঘুমায় নাকি কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানায়?
No comments:
Post a Comment