দেশে বিরল ধর্মীয় রোগ বাড়িতেছে ,চিকিৎসায় সক্ষমতা নাই বঙ্গবাসীর। যারা চিকিৎসার দায়িত্ব নিবার যান তাদের ডান্ডফটাশের শিষ্য কইয়া সাইলেন্ট করার চেষ্টা করা হইতেছে। ধর্ম ডিঙাইয়া বাংলাদেশে থাকনে কারো বুকের পাটা নাই ; পিটাইয়া তক্তা বানাইয়া ফালাইব মক্কাফেরত সেনাবাহিনী। জীবন বাচাইতে নীরবে পয়লাবারের মতো উড়াল নৌকায় উঠে ভাগতেছে চিকিৎসকরা। ধর্মে অবিশ্বাসীদের খেদাইয়া খড় ঘাসের বিছানায় ঘুমাইয়া বেশ মজাই পায় রাজার পোলারা। অন্যদিকে গভীর সমবেদনা আর তীব্র নিন্দায় জর্জরিত এক বাঙালি জাতির ভাবমূর্তির কথা ভাবিয়া সর্বদা মিউট থাকে সিদাসাদা মানুষগুলা।
এদের মাইরা খেদাইয়া বহুত পুণ্য সঞ্চয় করছে আল্লার বান্দারা। এইটা খুব পুণ্যের কাম। এই মারামারি, পাড়াপাড়ি এইটা কিন্তু নতুন কিছু না কইলাম......যুগে-যুগে ইসলাম ও মানুষ মারার ইতিহাস হইতে আমরা হুনসি যে, পয়লা মানব আদম ও হাওয়ার প্রথম দুই পুলা কাবিল হাবিলকে পাথরের ঢিল মাইরা হত্যা করে। আদিম যুগে অঞ্চল দখল নিয়া এক টিমের লগে অন্য টিমের যুদ্ধ হইতো এবং পরাজিত টিমেরে জিতা টিম মাইরা ভ্যানিশ কইরা দিতো। এই টিমগুলাতে বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল টিম চাইতে বেশী মাইনসে থাকতো। হেই থাইক্যা মানুষ মারা আরম্ভ। সভ্য সমাজে মানুষ মাইরা ফালানো কেউ সমর্থন করেনা। হেরপরেও মানুষ হত্যা থামে নাই, যুগে যুগে এই হত্যাকাণ্ড হইছে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে, আলাদা আলাদা রেফারেন্স দিয়া । কখনো অঞ্চলকে লইয়া কখনো ধর্মকে লইয়া। খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট (হযরত ঈশা) কেও হত্যা করা হইছে ধর্মের কারনেই। তেমনি পৃথিবীর অন্যতম শান্তির ধর্ম ইসলামেরও জন্ম মানব হত্যার শুরু দিয়াই।
পার্সিয়ান সাম্রাজ্য মুটামুটি ধংশের শেষ প্রান্তে তখন। সমগ্র ইউরোপ তখন উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতেছে। এশিয়ায় সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যময় শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছিলো। হেইসময় মদিনায় ছিল খ্রিষ্টানদের আধিপত্য, আর জেরুজালেম এ ছিল ইহুদিগো আধিপত্য। মক্কায় সহ অন্যান্য আরব অঞ্চল সমূহে ছিল আরব বেদুঈনদের বিচরণ শুধুমাত্র মক্কা ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলবাসী ছিল অনেকটা যাযাবর জাতীয়। এক জায়গায় অধিক সময় তারা বসবাস করতনা। খালি এইখান ওইখান চক্কর দিয়া ঘুরতো।
মক্কার গোড়াপত্তন হইছিল নবী ইব্রাহীম (আব্রাহাম) এর সময়। গোত্র-প্রথা ছিল অঞ্চলবাসীর শাসন ব্যবস্থা। মক্কায় প্রভাবশালী আধিপত্য আছিল কুরাইশ গোত্রের, মিশর ও ভারতীয় ধর্মীয় প্রভাবে প্রভাবিত আছিল মক্কার অধিবাসীগণ, যার দরুন অনেক দেব দেবীর মূর্তি স্থাপিত হইছিলো মক্কায়, ঢোল পিডাইয়া ধর্মীয় উৎসব পালন করতো তারা। এর কারণে অনেক দেশের মানুষ আইতো সেইখানে, স্বভাবত মক্কায় ব্যবসাও আছিল জমজমাট এসব কারণে।
টেকাটুকাজনিত কারণে এই অবস্থান ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কুরাইশ গোত্রের। পরিস্থিতির বিবেচনায় নতুন - নতুন ধর্মীয় রীতি - নীতি প্রথা প্রচলন করে, মূলত তাদের বসে থেকে আয়ের ব্যবস্থাদি করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। টাঙ্কুর উপরে প্যান্ট পড়া, নত হইয়া বসা, বইসা পানি খাওয়া সব কিছুর লগে আল্লা খোদার কাহিনী যুক্ত করা সেইটার মহান কইরা তুলতো।
ওই গোত্রের আব্দুল্লার পুলা মুহাম্মদ, মক্কায় আল-আমিন নামে হক্কলের কাছে পরিচিত আছিল। ইনি কিন্তু জন্মাইছিলেন ক্ষত্রিয় মুল্লাগো রাজা হইয়া। বেডার নামের অর্থ হইল সত্যবাদী। যুবক অবস্থায় স্থানীয় রাজনীতিতে সে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করতে থাকে, যা স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ পছন্দের চোখে দেখেননি, সমস্যা বাইড়া যায় যখন, মোহাম্মদ নিজেকে আল্লাহর নবী হিসেবে দাবী করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করে। ইতোমধ্যে তার অনেক অনুসারী স্যারেন্ডার হইয়া যায়, ইটা দেইখ্যা কুরাইশ গোত্রের নেতাগো ডরাই যায়। একদিকে নতুন ধর্মের বিস্তার অন্যদিকে তাগো বহুতদিনের ধর্মকেন্দ্রীক ব্যবসা-বাণিজ্য ধংশ হইবার ডর। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয়, মুহাম্মদ কে ভ্যানিশ কইরা ফালাইবো। মুহাম্মদ পূর্বেই টের পাইয়া শিষ্যগো লইয়া ভাইগ্যা যান যা ইসলামে বলা হয় হিজরত করেছিলেন। সেইখানেও ইটিশপিটিশ কাহিনি আছে। বহুতদিন পলাইয়া থাইকা, শেষমেষ দৌ্ড়াইতে দৌড়াইতে টায়ার্ড হইয়া মদিনায় খ্রিষ্টানদের নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেন। বলে এখন থাইকা আপনেরা যা কন; সেইমতোই চলমু আমরা। আমাগো থাকতে দেন। ক্রিষ্টানরা ভাবলো নিশ্চয়ই ইনি একটু বিশেষ কিসিমের মুল্লা। না হইলে বডিগার্ড হিসাবে কি আর এমন ফেরেসতারদের নিয়া চলাফিরা করেন? মদিনার খ্রিষ্টানগণ তাদের সাদরে মেহমান হিসেবে গ্রহণ করেন, ভালোই খাতিরযত্ন করে। জায়গাটাতে বহুতদিন মুহাম্মদ ও তার শিষ্যরা ঘাপটি দিয়া আছিল।
মুহাম্মদ বেবাক চালাক আছিল। ভাগনার মহনীয় বক্তব্য অনেককেই প্রভাবিত করতো, এবং বেবাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হইয়া যায়। এছাড়া বহুত খ্রিষ্টান পরিবার, সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে থাকা ইসলাম ধর্মীয় বেডাগো প্রতিনিয়ত অত্যাচারে পার্শ্ববর্তী খ্রিষ্টান দেশসমূহে পালাইয়া যান।
কিছুদিন যাইবার পর, উনি নিজ শক্তি সঞ্চয় কইরা অনেক অনুসারী নিয়া (শক্তিপ্লাস আছিল না কিন্তু সেই সময়), নিয়মিত বেশ কয়েকটি যুদ্ধে খুবই দক্ষতার লগে মক্কায় অভিযান পরিচালনা করেন, এবং যুদ্ধে অনেক কাফের(মালাউন) মাইরা ফালান এবং মক্কা বিজয় করেন। হেই সময়ের কুরাইশ গোত্রের অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরও মারেন, যারা মূলত আছিল উনার নিজ গোত্রীয় ও অনেকেই ফেভিকল আত্মীয়। ধর্মের লাইগ্যা কাফির(মালাউন/বিধর্মী) হত্যার বৈধতা দেন। মুহাম্মদের সময়ে রাজ্য বিস্তার আরব দেশসমূহেই সীমাবদ্ধ আছিল, আরব বেদুঈনদের ধর্মান্তর করা অথবা ভ্যানিশ করে সায়েস্তা করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। প্রতিবেশী খ্রিষ্টান রাজাদের দরবারে উনি বিভিন্ন সময়ে উপহারসহ দূত পাঠাইয়া সুসম্পর্ক বজায় রাখেন।
তার আন্ডারে মক্কায় পুনরায় বাৎসরিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান হইতে থাকে,যা মূলত মক্কায় পূর্বে স্থাপিত মূর্তি সরিয়ে তার স্থলে কাবাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হইতে থাকে। পুনরায় ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে এর ফলে স্থানীয় কুরাইশ গোত্রের আয় রোজগারের স্থায়ী বন্দোবস্ত হয়। কুরাইশ বংশওয়ালারা তারে পেন্নাম করিতে থাকিলো।
মুহাম্মদের মৃত্যুর পর, তার ডিয়ার সিনিয়র অনুসারীদের নিয়ে গঠিত(যাদের বলা হয়,সাহাবীয়ে কেরাম) হয় মজলিশে শুরা। যার প্রধান হিসেবে আবু বক্কর খলিফা নিযুক্ত হন। আবু বকর দুই বছরেরও অধিক সময় রাজ্য পরিচালনা করেন। তার শাসনকালে তিনি ইসলাম ত্যাগীদের আল্লার নামে বলি দেন, সাসানীয় এবং বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যে অভিযান পরিচালনা করেন, যদিও ততটা অভিযান কইরা ধইন্য হইতে পারেন নাই ।
তার সম্পর্কে উইলিয়াম মন্টগোমারি ওয়াট লিখেছেন :
"From 622 to 632 he (Abu Bakr) was Mohammed's chief adviser, but had no prominent public functions except that he conducted the pilgrimage to Mecca in 631, and led the public prayers in Medina during Mohammed's last illness."
৬১ বছর বয়সে তার ইতি গজব হয়।
তারপর শাসন করবার দায়িত্ব পান, প্রভাবশালী সাহাবী উমর বিন খাত্তাব, আবু বক্করের তুলনায় উনি যথেষ্ট ঘ্যাচাং ও সাম্রাজ্যবাদী ছিলেন। খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
উমরের শাসনামলে রাজ্য সীমা যথেষ্ট বাইড়া যায়। হেইসময়ের সাসানীয় সাম্রাজ্য ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের দুইতৃতীয়াংশ মুসলিমগো নিয়ন্ত্রণে আসে (যদিও নির্ভরযোগ্য তথ্যসুত্র পাওয়া যায়নি) এবং জেরুজালেম মুসলিমগো হস্তগত হয়। এসব যুদ্ধে লক্ষাধিক মাইনসেরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, যার বেশীরভাগই আছিল খ্রিষ্টান ও ইহুদী ধর্মাবলম্বী। শেষমেষ পার্সিয়ান এক ঘাতকের ছোরার আঘাতে তার ইতি গজব ঘটে।
তার মৃত্যুর পর রাজ্য পরিচালনার দায়িত্ব বর্তায় অন্যতম অনুসারী উসমান এর উপর। তার রাজ্য পরিচালনা সম্পর্কে ততটা তথ্য পাওয়া যায়না, যতদূর জানা যায়, উনি একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আছিলেন। রাজ্য জয়ের চাইতে স্থানীয় বিদ্রোহী খেদাইতেই উনাকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হইত,তার রাজত্বের পুরোটা সময়। অজ্ঞাতনামা আততায়ীর হাতে উনি নিহত হইছিলেন। তার মিত্যুর পর, ইসলামী সাম্রাজ্য নেতৃত্বদানকারীদের মাঝে ঝগড়া লাইগ্যা যায়। উসমান কে হত্যার বিচার দাবী করে প্রভাবশালী সাহাবী-গন।
এই অস্থিতিশীল টাইমে চতুর্থ শাসনকর্তা নিযুক্ত হন, মুহাম্মদের জামাতা আলী ইবনে আবু তালিব। মুহাম্মদের জ্যৈষ্ঠ অনুসারীদের মাঝে ক্ষমতা গ্রহণের লোভ চরম আকার ধারণ করে (বেহেসতের লোভ নয় কিন্তু)। অনেক গুলো যুদ্ধ লইয়া তাকে ব্যস্ত থাকতে হইত, নিজ ধর্মীয় সাহাবীদের(মুহাম্মদের অনুচর) বিরুদ্ধে। অনেকেই উনি হত্যা করতে সক্ষম হন। অনেকেই নিরুদ্দেশ বা পালাইয়া যান। সর্বশেষ ইমাম মুয়াবিয়ার হাঙ্কিপাঙ্কির সাথে পেরে না উঠার কারনে, সন্ধি করতে বাধ্য হন। তার লগে চুক্তি হয়, রাজ্য ভাগ করে শাসন করার এবং ইমাম মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর আলীর পুত্র হাসান কে খলিফা করবেন। এরমাঝে আলী আততায়ীর হাতে নির্মমভাবে অক্কা পান। এবং ইসলামী খিলাফতের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ইমাম মুয়াবিয়া শেষ পর্যন্ত তার কথার হেরফের কইরা ফালান। তিনি পুত্র ইয়াজিদ কে শাসনকর্তা নিযুক্ত কইরা যান। ইয়াজিদ ক্ষমতায় আরোহণ কইরাই প্রথমেই কৌশলে ইমাম হাসানকে তার নিজ স্ত্রী কর্তৃক বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন, এবং অরেক পুলা ইমাম হুসাইনকে কৌশলে অন্য আঞ্চলিক শাসনকর্তার মাধ্যমে আমন্ত্রণ করিয়ে, পথিমধ্যে কারবালার ময়দানে তার সহস্রাধিক অনুচর সহ নৃশংসভাবে হত্যা করেন। যার মাধ্যমে ইসলামের শিয়া মতাদর্শ জন্ম লয়।
পরবর্তী ইসলামের শাসন পরিক্রমায় মক্কার প্রভাব কমতে থাকে এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তাগণ প্রভাবশালী হইতে থাকে এতে কইরা অনেকেই মক্কায় অভিযান চালিয়ে রাজ্য ক্ষমতা দখল করে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন। তাদের মধ্যে উসমানী খিলাফত,আব্বাসীয় খিলাফত,উমাইয়া খিলাফত-মামুর বেডাগো নাম উল্লেখ্য যোগ্য।
এইসব খিলাফত এর শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাধারার চর্চা হইতে থাকে এবং ব্যাপকহারে একদিকে লক্ষ-লক্ষ খ্রিষ্টান হত্যা কইর্যা ইউরোপের স্পেন পর্যন্ত রাজ্য বিস্তার করে, ইহুদী হত্যা করে জেরুজালেম পর্যন্ত ও হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী হত্যা করে সমগ্র ভারতবর্ষে রাজত্ব কায়েম করে। আফ্রিকার উপকূলীয় দেশ সমূহে অভিযান চালিয়ে রাজ্য জয় করে অনেক মানুষকে হত্যা করে অনেককেই বন্দি কইরা দাস হিসেবে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম বানাইয়া আরবে নিয়া আসে এবং এর ফলে পৃথিবীতে দাসপ্রথার ব্যাপক প্রচলন ঘটে।
#সারমর্ম: ইসলাম প্রচার থেকে শুরু হয় মানুষ হত্যা, যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। এখনো ইসলামের দোহাই দিয়ে, ভিন্ন ধর্মী, ভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসী, মানুষদের কে ব্যাপক হারে হত্যা করা হচ্ছে, কখনো বোমা মেরে, কখনো গুলি করে, কখনো জবাই করে, কখনো বিমান হামলা করে। এ পর্যন্ত কত কোটি মানুষ শুধু ইসলাম না মানার কারনে হত্যা করা হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান কোন দেশ বা কোন জাতীর পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment