একটা জনগোষ্টির আচার আচরণ, চিন্তা, কল্পনা, আশা বা স্বপ্নের তথা সামগ্রিক আবেগের ছাপ থাকে এর মূলধারার সংস্কৃতিতে।
শিল্প, সাহিত্য, সংগীত এর সবই তো মানুষের বোধ, ভাব, কল্পনার ছাপ।
আমরা বাঙ্গালী জাতি অনেক বিষয়ে লুকাছাপা করতে পছন্দ করি। সামাজিক সৌজন্য বলে একটা পর্দা আমাদের চোখের সামনে টাঙ্গানো থাকে। এই পর্দার ঐ পাড়ে কি আছে, তা আমাদের জানা, কিন্তু তা আমরা মানতে নারাজ। এই পর্দার পেছনে যেমন অনেক ছোট খাট ভান ভণিতা আড়ালে পড়ে যায়, তেমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আমরা আড়াল করি। এর আবার আমাদের নিজস্ব অর্থবোধক পরিচয় ও আছে । সোজা বাংলায় আমরা
"শাক দিয়ে মাছ ঢাকি"
মাছ যত বড়ই হোক আমরা এক চিমটি শাক এর উপরে রেখে জোরে জোরে বলি, কোন মাছ নাই, শুধু শাক দেখা যায়। মানুষের আবেগের একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে যৌনতা। প্রতিটা মানুষ এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে পার হবে, এটাই জীবনের রীতি। আমরা বাঙ্গালীরা ভাব করি, আমাদের জীবনে যৌনতা অতি ক্ষীনধারার গুপ্ত আবেগ বিশেষ। এই নিয়া জানা শোনা, কথা বলা, শেখা বোঝার কিছু নাই।
সনাতন পর্দাটানা শিক্ষাব্যবস্থা আর কূপমণ্ডূকতার কারণে বেশিরভাগ বাঙ্গালীর যৌনতার শিক্ষা বলে বিশেষ কিছু নাই। জীবনের অপরিহার্য এই পর্বের সাথে আমাদের হঠাত পরিচয় হয় স্বপ্নদোষের মাধ্যমে। নিয়ন্ত্রণহীন যৌনচাহিদা আর কল্পনার মিশ্রণের এক অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আমাদের জীবনে আসে খুব গোপনে। যেন কি ভীষণ লজ্জার বিষয়। সেখান থেকে আগাতে হয় স্বমৈথুন পর্বে। যৌন প্রক্রিয়ায় বিপরীত লিঙ্গের ভূমিকা সম্পর্কে মূলধারার সংস্কৃতি আমাদেরকে দেয় ভুল ম্যাসেজ।
সমস্ত সিনেমায় দেখা যায় প্রেমে পড়া যুগল কিস করতে নিলে মেয়েটা লজ্জায় মুখ ঘুরায়ে বলে
"যাহ দুষ্টু , আমার লজ্জা করছে।"
বা ধাক্কা মেরে বলে
"ছিঃ কি হচ্ছে এসব, অসভ্য !"
তারপর ফুলে ফুলে টোকা খায়, নায়ক নায়িকা নাচে গায়। আর কিছু করে না।
সিরিয়াসলি ? আর কিছু করে না ?
পোলাপাইন বয়সেই ছেলেরা শিখে, যৌনচাহিদায় মেয়েরা সাড়া দিবে না, কপট "না" বলবে। এই "না" কে পাত্তা টাত্তা দিলে ধরা খাইতে হবে, সারাজীবন আর কিস করা হবে না। তাই জোর কইরা ঘাড় টাইনা মেয়ের অমতে কিস কইরা ফেলতে পারলেই আসল পুরুষ !!!
আর মেয়েরা শেখে, যত ইচ্ছাই করুক, ছেলেদের সাথে নিজের শারীরিক চাহিদার কথা অকপটে বলা যাবে না। এটা অসভ্যতা। তাই যত ইচ্ছাই করুক মুখে "না" বলতে হবে।
তার মানে সম্পুর্ণ ভুল এই ধরনার ভেতর দিয়ে সবাই আগায় পরিণত বয়সের দিকে। যৌনতা হয়ে দাঁড়ায় গোপন বাসনা। কেউ খেয়াল করে নাই, হুমায়ুন আহমেদ নাটকে কাদের নামের চরিত্র কে দিয়ে বলিয়েছিলেন
"ভালবাসা হইল শরমের কথা, কিন্তু এর দরকার আছে"
অবশ্যই দরকার আছে, শারীরিক চাহিদা ভালোবাসাবাসির ভেতর দিয়ে হবে, এটাই তো হবার কথা, সেখান থেকে দম্পতি খুঁজে নিবে সুখ, আমন্ত্রণ জানাবে ভবিষ্যৎ সন্তান কে।
কিন্তু নাটক সিনেমায় গল্পে, গানে সব কিছুতে নারীকে বানানো হয় সোনার হরিণ, তার নিজের শারীরিক চাহিদার তাগিদ নাই, তাই ছেলেরা প্রস্তুত হয়, এই ব্যাপারে যা করার তাদের একারই করতে হবে।
তারপর আসি ভালবাসার কথায়।
এই দেশে ভালবাসা, প্রেম আর বিয়ে এই তিনটাকে এক লাইনে রেখে দেখার নিয়ম।
তাই কাউকে ভালবাসলে তাকে বিয়ে করা লাগবে। বিয়ে করতে রাজী না হওয়া পর্যন্ত মেয়েরা "না" বলতেই থাকবে এটা তো শেখানোই হয়। তাই যৌনতাড়নায় কোন নারীর "না" কে গোনায় না ধরার একটা মনস্তাত্ত্বিক বৈকল্য আমাদের বাঙ্গালী সমাজে খুব শক্তভাবেই আছে।
দূর্বল মনস্তাত্ত্বের উপর দাঁড়ানো বাঙ্গালী পুরুষ, স্বপ্নদোষ, সহবাস আর ধর্ষন এর সীমানা কোনটা যে কোথায় তা ঠাওর করা শেখে না। তাই লাখ লাখ উল্লু প্রজাতির বাঙ্গালী নর-এর লুল যুক্তি বের হয়
মেয়েরা শরীর দেখালে, সেই শরীর তো খুবলে খাবার উপযুক্তই হয়।
নারীর পোষক, নারীর চলন, নারীর শারীরিক নমনীয়তা সব কিছুই তাকে ভালনারেবল করার বৈধতা দেয় বলে এইশ্রেণীর বানর বিশ্বাস করে।
কল্পনায় নারী সংগম চিন্তায় নিয়ন্ত্রণ হারায়ে স্বপ্নদোষ হওয়া যেমন স্বাভাবিক, বাস্তবে নারীর শারীরিক আকর্ষন থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার উপর ঝাপ দিয়ে পড়া যে অস্বাভাবিক এই ফারাক বোঝার মতন বিবেক জাগানো সংস্কৃতি আমাদের নাই।
টিজ করা আর প্রেম নিবেদন করার ফারাক ধরতে আমাদের সমস্যা হয়।
নারীর সম্মতির অপেক্ষা করার শিক্ষা না পাওয়ায় আমাদের এই কনসেপ্ট ও নাই যে
স্বেচ্ছায় যে যৌনকর্মী যৌনসেবার বিনিময়ে পয়সা নেয়, তাকেও তার অমতে ভোগ করলে সেটা ধর্ষন।
কেউ স্বল্পবসনা হল, কি নগ্ন হল, সে যতক্ষণ সম্মতি না দিচ্ছে ততক্ষণ তো তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের কোন দাবী যুক্তি সংগত না।
আমার একটা সুন্দর গাড়ি আছে, এটা নিয়ে আমি রাতে রাস্তায় ঘুরতে বের হলাম,
পাঁচজন মিলে অস্ত্রধরে আমার গাড়িটা ছিনতাই করে নিয়ে যাবার পর, কেউ যদি বলে,
এত রাতে এইরকম গাড়ি বের করসেন আপনারই তো দোষ। তাহলে কেমন শোনায় ?
কিছু ছাগল এইটাও ঘাড় দিয়ে ঠেলতে থাকবে, পর্দা, বোরকা, ইসলাম নানান কুই কুই যুক্তিতে।
আসল কথা হল,
লাভমেকিং ব্যাপারটাই না শেখানোর কারণে আমাদের বেশিরভাগেরই ধারনা নাই যে যৌনতার শুরুও মস্তিষ্ক থেকেই শুরু হবার নিয়ম। যে দেশে ভালোবাসা লিখে, এঁকে, গেয়ে প্রকাশ করাতেও ভণিতা, ফুলে ফুলে টোকা মেরে বুঝাতে হয়, সে দেশে পর্দার আড়ালে কার যৌনজীবন কেমন হবে, তার তো কোন নিয়ম থাকবে না। ফুলে ফুলে টোকা মারতে মারতেও আমরা জনসংখ্যা ১৭ কোটিতে নিয়ে গেসি।
এই দেশে যে সক্ষম, সে বহুগামী হবার স্বপ্ন দেখে, যে অক্ষম সে অন্তক্ষরণে ভোগে।
মূল্য দেয় নারী সমাজ।
নারী ৬ মাস বয়স থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত ভোগ্যপণ্যই বিবেচ্য হয়। এই নিয়তি বরণ করতে নারীর ভূমিকা থাকা না থাকা আসলে বিবেচ্য না।
এত কথা বললাম, কারণ ধর্ষন সব দেশেই হয়। ১০০ মানুষের মধ্যে এক দুইজন বিকৃত মানুষ থাকা অস্বাভাবিক না। যেটা অস্বাভাবিক সেটা হচ্ছে এই বিকৃতকর্মের সাফাই গেয়ে যারা যুক্তি কুড়ায় সেই সব উপনরের মানসিকতা।
একজন ধর্ষক একটা মেয়ের যে টুকু ক্ষতি করে, তার চেয়ে ধর্ষনে ধর্ষিতার সম্ভাব্য উপযোগিতা যারা খুঁজে, তারা সমস্ত নারী জাতীটাকে ধর্ষন করে খুব অবলীলায়।
এই মানসিকতা ধর্ষকের বিকৃত মানসিকতার চেয়ে আমার কাছে বেশী ভয়াবহ লাগে।
শিল্প, সাহিত্য, সংগীত এর সবই তো মানুষের বোধ, ভাব, কল্পনার ছাপ।
আমরা বাঙ্গালী জাতি অনেক বিষয়ে লুকাছাপা করতে পছন্দ করি। সামাজিক সৌজন্য বলে একটা পর্দা আমাদের চোখের সামনে টাঙ্গানো থাকে। এই পর্দার ঐ পাড়ে কি আছে, তা আমাদের জানা, কিন্তু তা আমরা মানতে নারাজ। এই পর্দার পেছনে যেমন অনেক ছোট খাট ভান ভণিতা আড়ালে পড়ে যায়, তেমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও আমরা আড়াল করি। এর আবার আমাদের নিজস্ব অর্থবোধক পরিচয় ও আছে । সোজা বাংলায় আমরা
"শাক দিয়ে মাছ ঢাকি"
মাছ যত বড়ই হোক আমরা এক চিমটি শাক এর উপরে রেখে জোরে জোরে বলি, কোন মাছ নাই, শুধু শাক দেখা যায়। মানুষের আবেগের একটা বড় জায়গা জুড়ে আছে যৌনতা। প্রতিটা মানুষ এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে পার হবে, এটাই জীবনের রীতি। আমরা বাঙ্গালীরা ভাব করি, আমাদের জীবনে যৌনতা অতি ক্ষীনধারার গুপ্ত আবেগ বিশেষ। এই নিয়া জানা শোনা, কথা বলা, শেখা বোঝার কিছু নাই।
সনাতন পর্দাটানা শিক্ষাব্যবস্থা আর কূপমণ্ডূকতার কারণে বেশিরভাগ বাঙ্গালীর যৌনতার শিক্ষা বলে বিশেষ কিছু নাই। জীবনের অপরিহার্য এই পর্বের সাথে আমাদের হঠাত পরিচয় হয় স্বপ্নদোষের মাধ্যমে। নিয়ন্ত্রণহীন যৌনচাহিদা আর কল্পনার মিশ্রণের এক অতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আমাদের জীবনে আসে খুব গোপনে। যেন কি ভীষণ লজ্জার বিষয়। সেখান থেকে আগাতে হয় স্বমৈথুন পর্বে। যৌন প্রক্রিয়ায় বিপরীত লিঙ্গের ভূমিকা সম্পর্কে মূলধারার সংস্কৃতি আমাদেরকে দেয় ভুল ম্যাসেজ।
সমস্ত সিনেমায় দেখা যায় প্রেমে পড়া যুগল কিস করতে নিলে মেয়েটা লজ্জায় মুখ ঘুরায়ে বলে
"যাহ দুষ্টু , আমার লজ্জা করছে।"
বা ধাক্কা মেরে বলে
"ছিঃ কি হচ্ছে এসব, অসভ্য !"
তারপর ফুলে ফুলে টোকা খায়, নায়ক নায়িকা নাচে গায়। আর কিছু করে না।
সিরিয়াসলি ? আর কিছু করে না ?
পোলাপাইন বয়সেই ছেলেরা শিখে, যৌনচাহিদায় মেয়েরা সাড়া দিবে না, কপট "না" বলবে। এই "না" কে পাত্তা টাত্তা দিলে ধরা খাইতে হবে, সারাজীবন আর কিস করা হবে না। তাই জোর কইরা ঘাড় টাইনা মেয়ের অমতে কিস কইরা ফেলতে পারলেই আসল পুরুষ !!!
আর মেয়েরা শেখে, যত ইচ্ছাই করুক, ছেলেদের সাথে নিজের শারীরিক চাহিদার কথা অকপটে বলা যাবে না। এটা অসভ্যতা। তাই যত ইচ্ছাই করুক মুখে "না" বলতে হবে।
তার মানে সম্পুর্ণ ভুল এই ধরনার ভেতর দিয়ে সবাই আগায় পরিণত বয়সের দিকে। যৌনতা হয়ে দাঁড়ায় গোপন বাসনা। কেউ খেয়াল করে নাই, হুমায়ুন আহমেদ নাটকে কাদের নামের চরিত্র কে দিয়ে বলিয়েছিলেন
"ভালবাসা হইল শরমের কথা, কিন্তু এর দরকার আছে"
অবশ্যই দরকার আছে, শারীরিক চাহিদা ভালোবাসাবাসির ভেতর দিয়ে হবে, এটাই তো হবার কথা, সেখান থেকে দম্পতি খুঁজে নিবে সুখ, আমন্ত্রণ জানাবে ভবিষ্যৎ সন্তান কে।
কিন্তু নাটক সিনেমায় গল্পে, গানে সব কিছুতে নারীকে বানানো হয় সোনার হরিণ, তার নিজের শারীরিক চাহিদার তাগিদ নাই, তাই ছেলেরা প্রস্তুত হয়, এই ব্যাপারে যা করার তাদের একারই করতে হবে।
তারপর আসি ভালবাসার কথায়।
এই দেশে ভালবাসা, প্রেম আর বিয়ে এই তিনটাকে এক লাইনে রেখে দেখার নিয়ম।
তাই কাউকে ভালবাসলে তাকে বিয়ে করা লাগবে। বিয়ে করতে রাজী না হওয়া পর্যন্ত মেয়েরা "না" বলতেই থাকবে এটা তো শেখানোই হয়। তাই যৌনতাড়নায় কোন নারীর "না" কে গোনায় না ধরার একটা মনস্তাত্ত্বিক বৈকল্য আমাদের বাঙ্গালী সমাজে খুব শক্তভাবেই আছে।
দূর্বল মনস্তাত্ত্বের উপর দাঁড়ানো বাঙ্গালী পুরুষ, স্বপ্নদোষ, সহবাস আর ধর্ষন এর সীমানা কোনটা যে কোথায় তা ঠাওর করা শেখে না। তাই লাখ লাখ উল্লু প্রজাতির বাঙ্গালী নর-এর লুল যুক্তি বের হয়
মেয়েরা শরীর দেখালে, সেই শরীর তো খুবলে খাবার উপযুক্তই হয়।
নারীর পোষক, নারীর চলন, নারীর শারীরিক নমনীয়তা সব কিছুই তাকে ভালনারেবল করার বৈধতা দেয় বলে এইশ্রেণীর বানর বিশ্বাস করে।
কল্পনায় নারী সংগম চিন্তায় নিয়ন্ত্রণ হারায়ে স্বপ্নদোষ হওয়া যেমন স্বাভাবিক, বাস্তবে নারীর শারীরিক আকর্ষন থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার উপর ঝাপ দিয়ে পড়া যে অস্বাভাবিক এই ফারাক বোঝার মতন বিবেক জাগানো সংস্কৃতি আমাদের নাই।
টিজ করা আর প্রেম নিবেদন করার ফারাক ধরতে আমাদের সমস্যা হয়।
নারীর সম্মতির অপেক্ষা করার শিক্ষা না পাওয়ায় আমাদের এই কনসেপ্ট ও নাই যে
স্বেচ্ছায় যে যৌনকর্মী যৌনসেবার বিনিময়ে পয়সা নেয়, তাকেও তার অমতে ভোগ করলে সেটা ধর্ষন।
কেউ স্বল্পবসনা হল, কি নগ্ন হল, সে যতক্ষণ সম্মতি না দিচ্ছে ততক্ষণ তো তার সাথে শারীরিক সম্পর্কের কোন দাবী যুক্তি সংগত না।
আমার একটা সুন্দর গাড়ি আছে, এটা নিয়ে আমি রাতে রাস্তায় ঘুরতে বের হলাম,
পাঁচজন মিলে অস্ত্রধরে আমার গাড়িটা ছিনতাই করে নিয়ে যাবার পর, কেউ যদি বলে,
এত রাতে এইরকম গাড়ি বের করসেন আপনারই তো দোষ। তাহলে কেমন শোনায় ?
কিছু ছাগল এইটাও ঘাড় দিয়ে ঠেলতে থাকবে, পর্দা, বোরকা, ইসলাম নানান কুই কুই যুক্তিতে।
আসল কথা হল,
লাভমেকিং ব্যাপারটাই না শেখানোর কারণে আমাদের বেশিরভাগেরই ধারনা নাই যে যৌনতার শুরুও মস্তিষ্ক থেকেই শুরু হবার নিয়ম। যে দেশে ভালোবাসা লিখে, এঁকে, গেয়ে প্রকাশ করাতেও ভণিতা, ফুলে ফুলে টোকা মেরে বুঝাতে হয়, সে দেশে পর্দার আড়ালে কার যৌনজীবন কেমন হবে, তার তো কোন নিয়ম থাকবে না। ফুলে ফুলে টোকা মারতে মারতেও আমরা জনসংখ্যা ১৭ কোটিতে নিয়ে গেসি।
এই দেশে যে সক্ষম, সে বহুগামী হবার স্বপ্ন দেখে, যে অক্ষম সে অন্তক্ষরণে ভোগে।
মূল্য দেয় নারী সমাজ।
নারী ৬ মাস বয়স থেকে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত ভোগ্যপণ্যই বিবেচ্য হয়। এই নিয়তি বরণ করতে নারীর ভূমিকা থাকা না থাকা আসলে বিবেচ্য না।
এত কথা বললাম, কারণ ধর্ষন সব দেশেই হয়। ১০০ মানুষের মধ্যে এক দুইজন বিকৃত মানুষ থাকা অস্বাভাবিক না। যেটা অস্বাভাবিক সেটা হচ্ছে এই বিকৃতকর্মের সাফাই গেয়ে যারা যুক্তি কুড়ায় সেই সব উপনরের মানসিকতা।
একজন ধর্ষক একটা মেয়ের যে টুকু ক্ষতি করে, তার চেয়ে ধর্ষনে ধর্ষিতার সম্ভাব্য উপযোগিতা যারা খুঁজে, তারা সমস্ত নারী জাতীটাকে ধর্ষন করে খুব অবলীলায়।
এই মানসিকতা ধর্ষকের বিকৃত মানসিকতার চেয়ে আমার কাছে বেশী ভয়াবহ লাগে।
No comments:
Post a Comment