Wednesday, August 3, 2022

স্যার সৈয়দ আহমদের শ্রেণীবৈষম্য

“স্যার সৈয়দ আহমদ খান বাহাদুর ভারতের মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন। তিনি এই কাজের জন্যই মোহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে”

>ব্রিটিশ আমলে অনগ্রসর-পশ্চাদপদ মুসলমানদের শিক্ষাবিস্তারে স্যার সৈয়দ আহমদ বিশাল অবদান রেখেছিলেন। উইকিতেও লেখা আছে উপরের লাইনগুলো।

অথচ আবু জাফর শামসুদ্দিনের লেখায় পড়লাম, ‘স্যার সৈয়দ আহমদ সপিরষদ গভর্নর জেনারেলের কাছে লিখিতভাবে সুপারিশ করেছিলেন যে, উচ্চস্তরের প্রশাসনিক চাকরিতে কেবলমাত্র শরিফ পরিবারের মুসলিম যুবকদের নিয়োগ করা উচিত।’

প্রিয় পাঠক এই বাক্যের 'কেবলমাত্র শরিফ পরিবার’ বাক্যাংশে চোখ আটকাতে বাধ্য আমাদের। আজ থেকে ১৫০ বছর আগে ভারতবর্ষের শিক্ষা বিস্তারে সৈয়দ আহমদের অবদান অনস্বীকার্য, কিন্তু যে লোক নিম্নবর্গের মুসলিম পরিবারের উন্নতিতে বাধা দিয়েছিলেন, আশরাফ-আতরাফ বৈষম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলেন, তাকে কি খুব একটা শ্রদ্ধার চোখে দেখা যায়?

তথ্যসূত্রঃ স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত 'বাংলাদেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা’ বইয়ের প্রবন্ধ ‘প্রগতিবাদী আন্দোলনের ধারায় আলেম সমাজ-আবু জাফর শামসুদ্দীন’ পৃ-২১ ।

No comments:

Post a Comment